Jessicj Artemisia কেন ইসলাম ত্যাগ করেছেন?

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহর্মিতা জানাতে গিয়ে একজন পশ্চিমা ব্লগার জেসিকা আর্টেমিসিয়া কেমন করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তার করুণ অভিজ্ঞতা নিজের ব্লগে তিনি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, আপনি মুসলিমদের সাপোর্ট করুন দয়া করে তাদের মত হয়ে নয়, ইসলাম সম্পর্কে আপনি যা জানেন ইসলাম আসলে তা নয়…।

এগারো বছর আগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন ফিলিস্তিনি নারীরা কুরআন পড়ছে। এরাই ইসলামকে এমন মহিমানিত্ব একটা জিনিসে তার কাছে উপস্থাপন করে যার কোন ভিত্তি ইসলামের কোন যুগেই ছিল না। জেসিকা লিখেছেন, অমুসলিমদের কাছে ইসলামের এমন একটি সংস্করণ তুলে ধরা হয় যার হদিস কোন জন্মগত মুসলিমই জানে না। ইসলামের কুরআন হাদিস সীরাতে সেসব নেই। জেসিকা যখন ইসলামকে গভীরভাবে আকড়ে ধরে আরো ভালো মুসলিম হতে গিয়েছেন তখন ইসলামের এই তিনটি সোর্স অধ্যায়ন করে তার মোহ কেটে যায়। তিনি বুঝতে পারেন তাকে ভুল বুঝানো হয়েছিল।

কুরআনে তিনি স্ত্রীর গায়ে হাত দেয়া কথা জানতে পারেন নিজে যখন ইসলাম নিয়ে স্টাডি করেছেন। তিনি দেখেছেন নারীকে ইহকালে যেমন পুরুষের সম্পত্তি করা হয়েছে তেমনি পরকালে নারী উপহার দেয়ার মাধ্যমে নারীকে পণ্য করা হয়েছে। অথচ ইসলাম গ্রহণের আগে তাকে এমন একটি সমাজের কথা বলা হয়েছিল যেখানে নারীকে খুবই সন্মান জানানো হয়, প্রকৃত মর্যাদার আর অধিকারের সে সমাজের নাম ইসলাম। জেসিকা লিখেছেন, পশ্চিমা কানে এসব কথা শুনে খুবই ভালো লাগে। জেসিকাদের এই ভালো লাগে কেন সেটা তিনি বলেননি। কারণটি হচ্ছে পশ্চিমা সমাজের ব্যক্তি স্বাধীনতায় জীবনে যে কেউ ভোগবাদীতায় ঠেলে দিতে পারে, আবার কেউ আত্মনিবেদনে রাখতে পারে। পশ্চিমের এরকম ভোগবাদীতায় মজে থেকে থেকে জীবনে যখন ক্লান্তি এসে যায়, এমন কারোর কাছে ইসলামের মিশনারী সংস্করণটি উপস্থান করলে তার কাছে সেটিকে শান্তির একটি জীবনবিধান মনে হয়। তাই আমার দেখতে পাই কোন পপ তারকা, মডেল, খেলোয়াড়, অভিনেতা যারা হয়ত ভোগে আকন্ঠ মজে থেকে জীবনকে বিষিয়ে ফেলেছিলেন। তারা যখন কোন মিশনারী মুসলমানের ফাঁদে পড়েন তার ইসলামে কনভার্ট হওয়ার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি!

জেসিকা ইসলাম নিয়ে গভীর অধ্যয় করতে গিয়ে তিনি দেখতে পেয়েছেন, মুসলমানরা এমন একটা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার কথা বলে তার নজির পৃথিবীতে কোনকালেই ছিল না। বরং এর উল্টো ইসলামী সমাজের চিত্র পাওয়া যায়। ইতিহাস থেকে পড়লে জানা যায় চরম আকারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ছড়াছড়ি। জেসিকা আরো অসংগতির কথা লিখেছেন যেসব আমরা বাংলায় ব্লগ ফেইসবুকে শত শত বার লিখেছি। ফলে সেসব উল্লেখ করার দরকার আছে বলে মনে করি না।। মূল কথা হচ্ছে অমুসলিমদের কাছে ইসলাম পৌঁছানোর একটি মিশনারী সংস্করণ আছে যা ইসলামের কোন সোর্সের সঙ্গে মিল নেই। ইসলাম গ্রহণই করা হয় এরকম এক ‘কল্পিত ইসলামকে’ জেনে।

বহু নওমুসলিম ইসলাম ত্যাগ করেছে যখন তারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আবার এমনও হয় নওমুসলিম ইসলামের কল্পিত সৌন্দর্য জেনে ইসলাম গ্রহণ করার পর ইসলামের আসল চেহারা জেনে একটা কসাইয়ে পরিণিত হয়েছে। আসলে সব কিছু ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে বাধ্য।

জেসিকা তার লেখাটা শেষ করেছে এভাবে, যাই হোক, আপনারা আমাকে একজন মুসলিম হিসেবে জানেন, দয়া করে জেনে রাখুন আমি আর সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্গত নই!

আসলে ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের সচেতন হওয়া উচিত। নইলে ইসলামী মিশনারীদের পাল্লায় যে কোন অমুসলিমের এক অনন্য অসাধারণ সমাজের স্বপ্নে ইসলাম গ্রহণ করার সম্ভাবনা ৫০-৫০!



Leave a comment

About Me

সুষুপ্ত পাঠক aka Susupto Pathok is a blogger. He wrote anti-fundamentalist, anti-nationalist, anti-religious writings. Writes in favor of humanism, gender equality, non-communal society.

Newsletter

https://www.facebook.com/profile.php?id=100089104248214