ইসলামের ঐতিহাসিক প্রমাণ কতটুকু?

মিশরের ফারাওদের শাসনের মত পুরোনো সভ্যতাকে আমাদের ‘বিশ্বাস’ করতে হয়নি। বিখ্যাত ফারাও রামেসিসে বলতে যে একজন শাসক ছিলেন তার নাম আমরা কিভাবে জানলাম? হায়ারোগ্লিফিক ভাষা পাঠ্যদ্ধার করে আমরা প্রাচীন মিশরীয় রাজা-রানীদের নামধাম ইতিহাস জানতে পারলাম। এসব আমাদের বিশ্বাস করতে হয়নি। প্রমাণ করতে হয়েছে। অথচ মুসা নামের কোন নবীর এরকম কোন প্রমাণ আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেনি!

দাউদ নবী নাকি পুরো পৃথিবীর রাজা ছিলেন। তা তার কোন মুদ্রা পাওয়া গেছে? তার কোন প্রস্তরলিপি বা তাম্রলিপি? নেই! অথচ ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মুদ্রা আছে! এমনকি ভারতের শাসনের সময়ে আলেকজান্ডারের চেহারা খচিত রূপার মুদ্রা জাদুঘরে রক্ষিত আছে। আলেকজান্ডারকে আমাদের বিশ্বাস করতে হয়নি। সম্রাট অশোককে আমাদের বিশ্বাস করতে হয়নি। অশোকের তাম্রলিপি পাওয়া যায়। কিন্তু রামের কোন তাম্রলিপি প্রস্তরলিপি পাওয়া যায় না। মুহাম্মদের মদিনা শাসনের কোন মুদ্রা নেই। কোন প্রস্তরলিপি নেই। মজার না?

ধর্মের কোন নবীর কোন নথিপত্র পাওয়া যায় না। রোমান শাসনের কোন সরকারী নথিতে যীশুখ্রিস্ট বা ঈসা নবীর কোন তথ্য নেই। মুহাম্মদের নামে যেসব চিঠি নেটে পাওয়া যায় সেগুলোর কোন কার্বন ডেটিং টেস্ট করানো হয়নি। তার পাগরী লাঠির কোন রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়নি। আবারো বলছি সপ্তম, অষ্টম, নবম শতাব্দীর কোন নথিপত্রে মুহাম্মদের নামের কোন কুরাইশ নেতার কোন অস্তিত্ব নেই। এটি ঐতিহাসিক চরিত্র নয়। মিথ আর কিংবদন্তি। পৃথিবীতে যত প্রাচীনকালের শাসকদের কথা আমরা জানি তা প্রমাণিত হয়েছে সেসময়ের নথিপত্রে। রামকৃষ্ণের ডেথ সার্টিফিকেট কোলকাতা পৌরসভাতে আজো রক্ষিত আছে কিন্তু লোকনাথ ব্রাহ্মচারীর কোন তথ্য বরদী থানা পুলিশের কাছে নেই! সেকালে সন্ন্যাসী বেশে স্বদেশীরা ঘুরে বেড়াতো বলে ইংরেজ পুলিশের চর আশ্রমের সাধুদের প্রতি নজর রাখত। লোকনাথ ব্রাহ্মচারীর সম্পর্কে একটিও পুলিশ রিপোর্ট নেই।

জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদটি হযরত ওমর বানিয়েছিলেন এমন কোন প্রমাণ কোথাও নেই। ওমর শাসক হিসেবে একটা মসজিদ বানাবে তার ভিত্তিপ্রস্ত থাকবে না? পিড়ামিড আজো অবিচল দাঁড়িয়ে আছে অথচ ইব্রাহিমের বানানো কাবাঘর কোথায়? জেরুজালেমের মসজিদটি মুসলিমদের জেরুজালেম দখলের পর ইহুদী তীর্থস্থানে ইচ্ছে করে বানানো হয় ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে। ওমরের নামে এই কাহিনী তখনই বানানো হয়। আপনাদের জানা উচিত ওমর, আবু বকর, ওসমান, আলী বলতে যাদেরকে ইসলামী শাসনের খলিফা (বাদশাহ) বলে জানি তার কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই!

এই চারজনের কোন মুদ্রা নেই। কোন সরকারী চিঠি, ফলক কিচ্ছু নেই। আরব দেশের মুদ্রার নাম দিনার-দিরহাম সেগুলো পারস্য ও রোম সাম্রাজ্যের মুদ্রার নাম। ইসলামী খলিফার যে মুদ্রাটি করাচি জাদুঘরে রক্ষিত আছে সেটি খলিফা আব্দুল মালিকের সময়ের। তিনি উমাইয়া বংশের পঞ্চম শাসক। তার আগে আর কোন ইসলামী মুদ্রার প্রমাণ নেই। আর আমরা জানি ইসলাম ধর্মটি উমাইয়া ও আব্বাসিয়া শাসনের সময় জন্ম দেয়া হয়েছিল। যার ফলে উমাইয়া শাসনের আগে কথিত ইসলামী শাসন ও ব্যক্তিবর্গ, নবী কারোর কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না।



Leave a comment

About Me

সুষুপ্ত পাঠক aka Susupto Pathok is a blogger. He wrote anti-fundamentalist, anti-nationalist, anti-religious writings. Writes in favor of humanism, gender equality, non-communal society.

Newsletter

https://www.facebook.com/profile.php?id=100089104248214