আত্মকথা
-
কেন বই পড়ি?
আমার পড়াশোনা শুরু দেশ পত্রিকার ‘অরণ্যদেব’ দিয়ে। এটাই পড়তাম। তখন হাফপ্যান্ট পরি। নেহাতই বালক। এমন জায়গায় থাকি সেখানে দেশ পত্রিকা বাসায় রাখা একেবারেই বেখাপ্পা। এসবের কারণেই আমিও বেখাপ্পা হয়ে গিয়েছিলাম পরবর্তীকালে। আর সব ছেলেদের মত না হয়ে বখে গেলাম আর কী! টিফিনের টাকা দিয়ে আনন্দমেলা, সন্দেশ, ফেলুদা কিনে পড়তাম। এসব কিনে পড়ে জীবনের এইমটাই যেন… Continue reading
-
নিন্দুক সমালোচক এক নয়
সারা বছর ধর্মের সমালোচনা করে ঈদের নামাজ পড়ে যারা তাদের নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। এতেই অনেকের আঁতে ঘা লেগে গিয়েছিল। দুই বছর আগে দূর্গা পূজার সময় একটা পোস্ট দিয়েছিলাম এরকম: আমার নাস্তিক হিন্দু বন্ধুদের অনেকে একদিনের জন্য এখন হিন্দু হয়ে যাবে…। আমার নিন্দুকদের সুবিধা হচ্ছে আমার আইডি যেহেতু থাকে না তাই এই রকম দুই লাইনের… Continue reading
-
বৈশাখের ফসিল
একটা পিস্তলের দোকানে দাঁড়িয়ে আছি। দোকানদার পিস্তলের টিগার চাপছেন ঠাস ঠাস করে। এক রাউন্ড গুলি ভরলেন। তারপর ফায়ার করলেন। বাতাসে বারুদের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ল। কাস্টমারকে দেখালেন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। পিস্তলের ক্রেতা এক বালক। বালকের বাবা দেখে শুনে রাজি হলেন কিনতে। দোকানদার লোকটি এতগুলি বছরে একই রকম রয়ে গেছে। মনে হয় তার বয়স থেমে আছে… Continue reading
-
কেন লিখি- আরেক প্রস্থ
শরীর খুব খারাপ ছিলো। বিছানায় শুয়ে নির্জীব হয়েছিলাম। গতকাল মনে হচ্ছিলে লিখতে আজ আর বসতে পারবো না। লেখালেখি হচ্ছে প্রতিদিনের কাজ। এমন কোন দিন নেই যেদিন আমি লিখতে বসি না। পড়া ও লেখা- এদুটো না করলে নিজেকে অশিক্ষিত লাগে। শরীর খারাপ খাকলে লেখালেখির এ্যানার্জি থাকে না। শরীর বলছে বিশ্রাম নিতে। বেলা করে উঠে ল্যাপটপ খুলে… Continue reading
-
এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?
খাঁচার বাইরে কিছু নেই। অসীম অন্ধকার শুধু। এ অন্ধকার অনন্তকালের। অনাদি। বরং বেঁচে থাকাটাই দার্শনিক ভাবালুতা। যেমন আমাদের আত্মা স্বর্গে যাবে। নয়ত নরকে। আসলে অন্ধকার অপেক্ষা করে আছে। কিন্তু বেঁচে থাকতে মানুষ দার্শনিক ভাবালুতার পাশাপাশি রাজনৈতিক ধোঁকাবাজীতে মত্ত থাকে। যেমন স্বদেশ আমাদের কাছে রক্ত চায়। মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান…’। কোথায় মুক্তি? পারিযায়ী… Continue reading
-
কে আমি
আজো মানুষ বলে ‘ওপাড়ে ভালো থাকবেন’। কোন সে পাড়? দু পাড় তখনই সম্ভব যখন চেতনা জাগ্রত থাকবে। চেতনা কল্পনার জনক। মৃত্যু হচ্ছে চেতনা লুপ্ত হওয়া। তুমি যে তুমি ছিলে তাই বিস্মৃত হয়ে যাবে। নিভে যাবার মত করে সব চেতনা উধাও হয়ে যাবে। পাড় একটাই। এই জগত। রহস্যময় জগত। কেন রহস্যময়? কারণ যা দেখি ভুল দেখি।… Continue reading
-
সাধারণ ধর্ম পালন ও রাজনৈতিক ধর্ম
মনুসংহিতা কয়জন হিন্দু চোখে দেখেছে জীবনে? এটা মুসলমানদের কুরআনের মত কোন বই নয়, খ্রিস্টানদের বাইবেলের মত কোন বই নয় যে প্রতিটি মুসলমান খ্রিস্টানের বাড়ির মত এক কপি করে থাকবেই। সেই মনুসংহিতাকে নিয়ে ভারতবর্ষে যত লেখা হয়েছে, মনুসংহিতার বাপন্ত তোলা হয়েছে তার সিকি ভাগ কুরআন নিয়ে লেখা হয়নি। এক সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখা বইতে মনুসংহিতা যেভাবে আক্রান্ত… Continue reading
-
আমার বইয়ের রিভিউ
আমার বইয়ের আমার নিজের রিভিউ ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা। প্রথমত “সুষুপ্ত পাঠক এর কথোপকথন” আমার প্রথম ছাপানো বই, তবে প্রথম বই নয়। আমার প্রথম বই ই-বুক “কারুর রক্ত চাইতে আসিনি” বের করেছিল ইস্টিশন ব্লগ। সে বই ডাউনলোড করে পাঠক প্রিন্ট করিয়ে নিজেরাই হার্ডকপি বানিয়ে আমাকে ছবি দিয়েছিল। ছাপানো বইয়ের জন্য দিনের পর দিন মানুষ আমাকে… Continue reading
-
আলোকিত মানুষ
ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার পরিচয় একটা পুরোনো বইয়ের দোকানে। দেশী বিদেশী পুরোনো বই কিনতে আসলে তাকে মাঝে মাঝে দেখতাম। একটা লোহার চেয়ারে বসে সিগারেট টানতেন। তাকে এতটা খাতির করার কারণে প্রথমে মনে করেছিলাম তিনিই দোকানের আসল মালিক হবেন মনে হয়। পরে জানলাম তিনিও আমার মতই ক্রেতা। আলাপের পর একদিন তার বাসায় চায়ের নেমন্ত্রণ করলেন। ভদ্রলোকের ঘরে… Continue reading
-
লেখা নিয়ে ভাবনা
গল্পের মত করে আমি যেগুলো লিখি, তা আসলে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার ফিকশন রূপ। আমার নিজের কথাই বলি গল্পের আদলে। আমার এই লেখাগুলি ছোট গল্প হলো কিনা, গল্পের নিয়ম মেনেছে কিনা, সাহিত্য হয়েছে কিনা – তা নিয়ে বিন্দু পরিমাণ ভাবি না। লেখাগুলো আখ্যারিক আত্মকথন নয়, ডাইরি নয়, লেখাগুলোকে কেউ গল্প বললে বলতে পারেন, সাহিত্যের গল্প বলে… Continue reading
About Me
সুষুপ্ত পাঠক aka Susupto Pathok is a blogger. He wrote anti-fundamentalist, anti-nationalist, anti-religious writings. Writes in favor of humanism, gender equality, non-communal society.
Newsletter
https://www.facebook.com/profile.php?id=100089104248214